বিভিন্ন পর্যায়ে অসন্তুষ্টির চিত্রও উঠে এসেছে পাওয়ার সেল পরিচালিত এ জরিপে।
Published : 30 Nov 2023, 08:52 PM
লোডশেডিং, ভুতুড়ে বিলসহ বিদ্যুৎ খাতের নানান গ্রাহক ভোগান্তি বছরজুড়ে খবরে আসার মধ্যে সরকারি এক জরিপে ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ গ্রাহক এ খাত নিয়ে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেল এর ব্যবস্থাপনায় চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মাঠ জরিপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিবেদন এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিম মাইডাস এ প্রতিবেদন তৈরিতে যুক্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া ১৫ হাজার ২৪৫ জন গ্রাহকের মধ্যে ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কল সেন্টার/হটলাইনের মাধ্যমে অভিযোগের সাড়া নিয়ে ৮৯ দশমিক ০১ শতাংশ গ্রাহক ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
তবে সন্তুষ্টির মধ্যেও বিভিন্ন পর্যায়ে অসন্তুষ্টির চিত্রও উঠে এসেছে জরিপে। ৯০ শতাংশ গ্রাহক বাড়তি ফি ছাড়াই নতুন সংযোগ পেলেও প্রায় ৮ শতাংশ গ্রাহককে বাড়তি টাকা গুণতে হয়েছিল।
আবার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ গ্রাহক। ৩৫ শতাংশ গ্রাহক দিনে এক বা একাধিক বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ সংযোগে দৈনিক আধাঘণ্টা করে, ২১ শতাংশ গ্রাহক দৈনিক এক ঘণ্টা করে, ১৪ শতাংশ গ্রাহক দৈনিক এক থেকে দুই ঘণ্টা করে এবং ৩ শতাংশ গ্রাহকের দৈনিক দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল।
দিনে একবার করে লোডশেডিংয়ের দেখা পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন ৪৬ শতাংশ গ্রাহক। ১৮ শতাংশ গ্রাহক জানিয়েছেন, তাদের সংযোগে দৈনিক একাধিকবারও বিদ্যুৎ গেছে।
জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ১৩ হাজার ৮৬২ (৯০.৯৩%), শিল্প গ্রাহক ১৩৫ (০.৮৯%), বাণিজ্যিক গ্রাহক ১ হাজার ২২০ (৮%) এবং সেচ গ্রাহক ২৮ জন (০.১৮%)।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রাহকদের কাছে আরও সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে সেবার মান ও সেবা প্রদান তত উন্নত হবে।
বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শহরাঞ্চলে বিদ্যুতের পরিস্থিতি ভালো হলেও পল্লী এলাকায় এখনও অনেক ভোগান্তির খবর আমরা শুনতে পাই। গ্রাহক সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে সেবার মান আরও কিভাবে বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।
জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে আধুনিক ও ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার করা, লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, অনলাইন বিলিং সিস্টেম, প্রিপেইড মিটারের সংখ্যা বাড়ানো, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন লোকবল বাড়ানো, তদারকি সভা নিয়মিত করা, মেরামত কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রাহকদের আগেই অবহিত করার মতো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।