প্রথম দিনে ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন এবং দ্বিতীয় দিনে ৪৯টি আবেদনের বিপরীতে ৩০ হাজার ৩৫৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Published : 01 Nov 2023, 08:50 PM
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে আলু আমদানির অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা আসার পর ব্যবসায়ীরাও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন।
বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত দুই দিনে মোট ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে ৪৯ হাজার ৭৫৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম দিনে ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন এবং দ্বিতীয় দিনে ৪৯টি আবেদনের বিপরীতে ৩০ হাজার ৩৫৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রতিকেজি আলু ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওইদিন থেকেই অনুমোদনপত্র দেওয়ার কথা জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
ওয়ানইন্ডিয়া ডটকম নামের একটি পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন শহরে বুধবার প্রতিকেজি ২০ রুপিতে আলু বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আলু আমদানি করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, “ভারত থেকে আলু আমদানি করাই আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে। ভারত থেকে আলু আমদানি করলে সেটা সরকার নির্ধারিত দামের ভেতরেই বাজারে বিক্রি করা যাবে।”
বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ ও ডিম আমদানির অনুমোদনও দিয়েছিল সরকার। তবে বিভিন্ন জটিলতায় ডিম আমদানি মাঝ পথে আটকে আছে। ভারতের রেগুলেটরি বাধার কারণে পেঁয়াজ আমদানি করেও বাজারে প্রভাব ফেলা যাচ্ছে না।
গত সেপ্টেম্বরে সরকার প্রতিকেজি ৬৬ টাকা হিসাবে দেশি পেঁয়াজের দর বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই দাম এখন ১২০ টাকারও বেশি হয়ে গেছে।
গত একমাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকলেও চলতি সপ্তাহে তা এক লাফে ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত গত শনিবার পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ৮০০ ডলার বেঁধে দিয়েছে। ভারতের ওই সিদ্ধান্তের খবরে ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।