“রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
Published : 14 Jan 2024, 03:56 PM
বস্ত্র ও পাট খাতকে ‘সজীব-সতেজ’ করে সমৃদ্ধি অর্জনকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এ দপ্তরের নতুন মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।
নানক বলেন, “পাটখাতের সমৃদ্ধি অর্জনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বস্ত্র ও পাট খাতকে সজীব-সতেজ করতে অবিচল থেকে দায়িত্ব পালন করব। রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
পাট উৎপাদন যেভাবে বাড়ানো যায়, সেভাবেই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “এর আগে আমি ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। তখন একটি চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম। বিএনপি-জামায়াত এমন একটি দেশ রেখে গেছিল যে দেশটি ছিল মুখ থুবড়ে পড়া একটি দেশ।
“ছিল পানির হাহাকার। সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। স্থানীয় সরকার ধ্বংস হয়ে গেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সেই মন্ত্রণালয়কে আমার মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে সারা বাংলাদেশে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম।
“আজ একটি নতুন মন্ত্রণালয়ে নতুন জায়গায় আবার সেই মাঠের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। মাঠের কৃষকদের সঙ্গ যোগাযোগ হবে। পাট উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে। পাট ও বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে আমাদের যে প্রধান রপ্তানি শিল্প রয়েছে, সেই শিল্পকে উৎরে আমরা শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে একটি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব, এটি আমার বুকভরা প্রত্যাশা।”
প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।