‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ছাড়াবে সিঙ্গাপুরকে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

“মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইন; মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল লাইফলাইন হবে”, বলেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2023, 11:21 AM
Updated : 19 Feb 2023, 11:21 AM

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ‘স্মার্ট দেশ’ গড়ার যে কথা বলছে, সেটি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ‘ছাড়িয়ে যাবে’ বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার কক্সবাজারের মহেশখালীকে মাতারবাড়ী পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। তখনকার ‘স্মার্ট দেশ’ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে।”

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরটি নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, এর সুবিধা পাওয়া যাবে ২০২৬ সাল থেকে। সে বছরই শুরু হবে অপারেশনাল কার্যক্রম।

বন্দরটি এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে এবং জুলাই থেকে জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বন্দর চালু হলে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে এবং এতে অর্থ ও সময় বাঁচবে, অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

“মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইন; মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল অর্থনীতির লাইফলাইন হবে।”

প্রতিমন্ত্রীর এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. ইউসুফ।

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা আছে।

প্রকল্পটির ‘ড্রইং ডিজাইনের’ কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধা নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল আমদানির জন্য ওই এলাকায় দুটি জেটিও নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নিয়ে দুটি জেটিতে এ পর্যন্ত ১১৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল ও বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগও আছে এতে।