যৌথ এ বিনিয়োগে বাংলাদেশ জমি দেবে এবং প্রায় ৫০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানিটি।
Published : 16 Jul 2024, 12:18 AM
মহেশখালীর মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের খালি জায়গায় ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে এগিয়ে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার।
সোমবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে সই করেন।
সমান অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নতুন একটি যৌথ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃহৎ এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যৌথ এ বিনিয়োগে বাংলাদেশ জমি দেবে এবং প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করবে পারতামিনা।
নতুন চুক্তি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “পাতামিনা গ্লোবাল ৫০০টি কোম্পানির একটি। ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুতের জন্য তারা বিনিয়োগ করবে। এটা বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এর আগে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানিও ৫০০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প শুরু করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ একটা উচ্চাভিলাশী পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে ১২৬টি প্রকল্প থেকে ১৩,০৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেও নবায়নযোগ্য উৎসের বিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা চলছে।
গ্যাস সংকট আরও এক সপ্তাহ
সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রায় দুই মাস ধরে চলমান গ্যাস সংকট আরও এক সপ্তাহ দীর্ঘ হওয়ার আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
এদিন অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী ছিলাম ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে। ঝড়ে এফএসআরইউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফএসআরইউ ঠিক করে আনার পর গত দুই দিন আগে আরেকটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন আবার এফএসআরইউ ঠিক করার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে লোকজন আসতেছে। এটা সামিটের একটা এফএসআরইউ। পাইপের সমস্যা আবার দেখা গেছে। আমরা আশাবাদী যে আরও এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাবচ্ছিন্ন গ্যাসের দিকে যেতে পারব।”