এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
Published : 05 Feb 2024, 11:56 PM
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন পেতে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এ বিষয়ে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
বৈঠকের বিষয়ে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়-ইতোমধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ায় বাংলাদেশ আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
তিনি বলেন, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে।”
এজন্য অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হন টাঙ্গাইলের ডিসি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
শিল্প সচিব বলেন, “টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন ও সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।”
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় টাঙ্গাইলের ডিসি বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই-একদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে।