নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয়, দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘কার্যকর’ পদক্ষেপ নেওয়ায় ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2022, 06:18 PM
Updated : 8 June 2022, 06:18 PM

বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী এ দাবি করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সংসদের মৌখিক ও লিখিত প্রশ্নে গণফোরামের মোকাব্বির খান, আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন, রুস্তম আলী ফরাজী ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “সরকারের পদক্ষেপের ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।”

আমদানিনির্ভর তেলের দামে অস্থিরতার পর সম্প্রতি চালের দামেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়; যদিও চালের উৎপাদন দেশেই হয় এবং এখন বোরো ধান ওঠার মওসুম চলছে। এ পরিস্থিতিতে মজুদদারি বন্ধে মাঠে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর।

মন্ত্রী সংসদে বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে। কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্ট করার সুযোগ থাকবে না।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিবহন খরচ বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এতে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়লেও বাংলাদেশে এর নেতিবাচক তেমন কোনো প্রভাব দৃশ্যমান হয়নি।”

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৮৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত হতে আমদানি হয়েছে আট হাজার ৫৯৭ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সেক্স ওয়ার্কারদের শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের ঘণ্টা হিসেবে মজুরি নির্ধারণ করার জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।”