ভ্যাট ছাড়ে আসা তেলের হিসাবও দিতে হবে

ভ্যাট কমানোর পর পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর ভোজ্যতেল আমদানির তথ্য চেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2022, 06:43 PM
Updated : 29 March 2022, 06:43 PM

মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে বুধবার সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য ভোজ্যতেল বিষয়ক এক বৈঠকে এই তথ্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। 

এর আগে বসুন্ধরা, এস আলম ও টিকে গ্রুপ, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানির নীতি নির্ধারকদের ‘বিভিন্ন অনিয়মের’ ব্যাখ্যা জানতে বুধবার অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে।

সেই বৈঠকের সময়ে বা সকাল ১১টার মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, সয়া সিড, অপরিশোধিত পাম তেলের ভ্যাট ছাড়ে আমদানির তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে কোম্পানিগুলোকে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট কমানোর পর এ সুবিধা নিয়ে কোম্পানিগুলো কী পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বা এর আগেই তথ্য দিতে বলা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা বলে স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে অন্তত ৩০ পর্যন্ত বেশি নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও তেল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগও ওঠে।

এরপর সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয় এবং উৎপাদন ও পরিশোধন পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়।

এ সময়কালে বাজার অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর তেল সরবরাহ ও পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শন শুরু করে।

সরকারি হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা, পাম তেল ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে সরকার ভ্যাট কমিয়ে আনার পর দামও ৭/৮ টাকা কমিয়ে সমন্বয় করা হয়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকার সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি লিটারে আবারও ১২ টাকা বাড়ানোর আবেদন করে মিল মালিকরা। সরকার এতে সাড়া না দেওয়ায় তেলের সরবরাহ লাইনের বিভিন্ন স্তরে কারসাজি শুরু হয়। মিল পর্যায় থেকে মার্চ মাস জুড়ে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার প্রমাণও পায় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের তদারকি টিম।

সেই সূত্র ধরেই মিল মালিকদের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল (রূপচাঁদা), এসআলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে ভ্যাট কমার পর আমদানি করা ভোজ্যতেলের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জানান।

মঙ্গলবার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (কার্যক্রম)  আফরোজা রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, “ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে গত ১৬ মার্চ এসআরও প্রকাশ করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। বর্ণিত এসআরও অনুসরণ করে শুল্কায়ন সুবিধাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে কী পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে তা ৩০ মার্চ সকাল ১১টার মধ্যে পাঠাতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। “