রিহ্যাব মেলায় চারশ কোটি টাকার বিকিকিনি

মহামারীর কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ঢাকায় যে আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত হল, তাতে ৩৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2021, 04:19 PM
Updated : 27 Dec 2021, 04:19 PM

পাঁচ দিনব্যাপী মেলার শেষ দিন সোমবার আয়োজনকারী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ রিহ্যাব এই তথ্য জানিয়েছে।

রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চললেও বিকালে সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব জানায়, বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৩৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা, প্লট ১২৫ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বুকিং এবং বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে ১৯ হাজার ২৩৭ জন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মাঠে তাঁবু টানিয়ে শুরু হয় এই মেলা। ছোটবড় ২২০টি কোম্পানি মেলায় তাদের আবাসন সংক্রান্ত সেবা নিয়ে মেলার আসরে বসে। জমি ও ফ্ল্যাট বিপণন কোম্পানি, নির্মাণ কোম্পানি ছাড়াও মেলায় ১৫টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, এই মেলা মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। মেলার মাধ্যমে মানুষের মাঝে আস্থা ফিরে এসেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা, মিডিয়াসহ সবার স্বতস্ফুর্ততায় অংশগ্রহণ ছিল।

“মেলায় ক্রয়-বিক্রয়ের সংখ্যা তত্ত্ব দিয়ে এই আস্থা ফিরে পাওয়ার সার্বিক চিত্র ভিজুয়ালাইজ করতে পারব না। এই মেলায় নাগরিকদের যে সাড়া, যে আবেদন আমরা দেখেছি তাতে আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি কামাল মাহমুদ, সহসভাপতি (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা, সহসভাপতি শরীফ আলী খানসহ রিহ্যাব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন “মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্রান্ডিং করা। এখানে যে সব ক্রেতা দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করবেন। কেউ হয়ত এখন ক্রয় করবেন আর কেউ হয়তো একটু পরে ক্রয় করবেন। মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতা কাছে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা ক্রেতা-দর্শনার্থীতের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন।”