পণ্য কিংবা অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
Published : 17 Aug 2021, 06:20 PM
গুলশান থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়েরের পর বিকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান।
তাদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক শুনানি নিয়ে দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর আহেমদ।
এর আগে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের পাঁচ মালিক-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
৩৭ জন গ্রাহকের পক্ষে তিনি এই মামলা করেন বলে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান।
মামলায় সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে আমানুল্লাহ, বিথী আকতার, কাওসার নামের তিনজনকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা পণ্য সরবরাহ না করে এক লাখ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
“গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করার জন্য উল্লেখিত পরিমাণ টাকা প্রদান করা হলেও নিদিষ্ট সময়ে পণ্য না দিয়ে বারবার নোটিসের নামে প্রতারণা করে আসছে।”
মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোনিয়া মেহজাবিন নিজেকে প্রতিষ্ঠানের সিইও পরিচয় দেন। তার স্বামী মাসুকুরও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
“আমরা শুনেছি প্রতিষ্ঠানটি বিথী আকতারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই বিথী আক্তার আবার তাদের আত্মীয়।”
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, “এই প্রতারণার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অগ্রিম টাকা দিয়েও দীর্ঘ সময় ধরে পণ্য বুঝে না পাওয়ায় সোমবার দিনভর প্রতিষ্ঠানটির গুলশানের কার্যালয়ের দিনভর বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ এবং কর্মকর্তাদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন গ্রাহকরা।