বিশেষ করে, সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের মৌসুম শুরু হওয়ায় সেখানে মৌয়ালরা যেতে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়লে বিসিক এ ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে বলে করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সুন্দরবনে মধু আহরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মৌয়ালরা বিসিকের খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা জেলা অফিসগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিসিকের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে।
বিসিকের আধুনিক পদ্ধতিতে মৌ-চাষ প্রকল্পের পরিচালক খন্দকার আমিনুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়।
বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৫০০ মৌ-খামার ও এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মৌ-বাক্স রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হয়।
আমিনুজ্জামান জানান, এবারের মৌসুমে ইতোমধ্যে আট হাজার মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের মৌসুম চলছে।
সারাদেশে বিসিকের ছয়টি মৌমাছি পালন কেন্দ্র রয়েছে এবং দেশে প্রায় ৮ হাজার মৌ-চাষী উৎপাদনে জড়িত।
প্রতিবছর মার্চ মাস জুড়ে দিনাজপুর, নাটোর, মাগুরা, গাজীপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় লিচুবাগানে মৌ-চাষ করে মধু সংগ্রহ করেন চাষীরা।
তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মৌ-চাষী ও মৌয়ালদের মধু উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
আমিনুজ্জামান বলেন, গত কয়েক বছরে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের মধুর যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সঙ্কটে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত শতাকের ৯০ এর দশকে সর্বপ্রথম ভারতে মধু রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এখন জাপানেও মধু রপ্তানি হচ্ছে।