দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার কারণে এই পণ্য দ্রুত আমদানি করতে উড়োজাহাজ ব্যববহার করা হচ্ছে।
আকাশপথে যে কোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা চার্জ দিতে হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে তা আর দিতে হচ্ছে না।
বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনগণের স্বার্থে যতদিন এভাবে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে, ততদিন পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এই চার্জ মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা দেওয়া হবে।”
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশে এই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ৩০-৪০ টাকা থেকে আড়াইশ টাকায় উঠে যায়।
এই পরিস্থিতিতে সরকার মিশর, তুরস্ক, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজে আনতে দেরি হবে বলে উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।