এশিয়ার ব্যবসা এক করার আলোচনায় ইতি টানল টেলিনর ও আজিয়াটা

নরওয়ের মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিনর আর মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ তাদের এশিয়ার ব্যবসা একীভূত করার আলোচনা থেকে সরে এসেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2019, 05:35 PM
Updated : 6 Sept 2019, 05:35 PM

শুক্রবার এক বিবৃতিতে টেলিনর বলেছে, এই আলোচনা আর এগিয়ে না নেওয়ার বিষয়ে তারা এবং আজিয়াটা গ্রুপ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।   

বাংলাদেশের শীর্ষ দুই মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণ ফোন ও রবির মালিকানার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নরওয়ে ও মালয়েশিয়ার এ দুই কোম্পানির হাতে। 

ওই আলোচনা সফল হলে এশিয়ায় দুই কোম্পানির টেলিকম ব্যবসা ও অবকাঠামো মিলিয়ে নতুন একটি কোম্পানি গঠন করার কথা ছিল। সেক্ষেত্রে নয়টি দেশে ৩০ কোটি গ্রাহক এবং ৬০ হাজার টাওয়ার নিয়ে নতুন এশিয়ার টেলিকম খাতের অন্যতম বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হত ওই কোম্পানি।

টেলিনর ও আজিয়াটার মধ্যে চার মাস ধরে চলা ওই আলোচনা ঠিক কী কারণে ব্যর্থ হল, তার স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা বিবৃতিতে আসেনি। টেলিনর শুধু বলেছে, ‘কিছু জটিলতার’ কারণে তারা আলোচনার সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আলোচনার শুরুতে বলা হয়েছিল, ৫৬.৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে টেলিনর হবে নতুন কোম্পানির বড় অংশীদর। আর আজিয়াটার হাতে থাকবে বাকি ৪৩.৫ শতাংশ শেয়ার। তবে আলোচনার মাধ্যমে ওই হিস্যা বদলানোর সুযোগ ছিল।

গত জুনে এই দুই টেলিকম কোম্পানির আলোচনা শুরুর খবর যখন প্রথম আসে, তখন বলা হযেছিল, আলোচনা সফল হলে একীভূত ওই কোম্পানির সম্মিলিত ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়াবে বছরে ১৩ বিলিয়ন ডলারে, আয়ের পরিমাণ হবে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের মত।

এশিয়ায় দুই কোম্পানির ব্যবসা একীভূত হলেও বাংলাদেশে রবি ‘আলাদা কোম্পানি হিসেবে স্বাধীনভাবে’ ব্যবসা চালিয়ে যাবে এবং আজিয়াটার হাতেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।

আপাতত কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না গেলেও ভবিষ্যতে যে এ বিষয়ে নতুন কোনো অগ্রগতি হবে না, সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না টেলিনর। 

এশিয়ায় মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে ব্যবসা রয়েছে টেলিনরের। আর আজিয়াটা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে।