বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে বছরের প্রথম প্রান্তিকের সংবাদ সম্মেলনে কারখানা সংস্কার ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের অগ্রগতি তুলে ধরেন অ্যালায়েন্সের কার্যনির্বাহী পরিচালক জিম মরিয়ার্টি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ যাবত অ্যালায়েন্সভুক্ত ৩২২টি কারখানা পর্যাপ্ত সংস্কার কাজসহ সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ শেষ করেছে। আর সক্রিয় কারখানাগুলোতে জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি সংস্কারের ৮৪ শতাংশ কাজসহ ৮৮ শতাংশ সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কারখানাগুলোর পাঁচ বছর আগের ও বর্তমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, সব মিলিয়ে ২৯০টি কারখানার অবকাঠামোগত রেট্রোফিটিংয়ের প্রয়োজন ছিল, তার মধ্যে ২৬৪টি কারখানা অর্থাৎ ৯১ শতাংশ সম্পূর্ণভাবে রেট্রোফিটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে।
একইভাবে স্প্রিংকলার সিস্টেম স্থাপন করা প্রয়োজন এমন ১৪১টি কারখানার মধ্যে ১১৮টি অর্থাৎ ৮৪ শতাংশ স্থাপনকাজ শেষ করেছে। এটি স্থাপনের ফলে শ্রমিকরা আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে বেশি সময় পায় ও অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক অবস্থায় আগুন নেভাতে পারে।
মরিয়ার্টি বলেন, অ্যালায়েন্সের কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন দেখছেন তারা। এ বছরের শেষ নাগাদ অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম হস্তান্তরিত হবে অগ্নি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থার কাছে, যেটি কারখানা পরিদর্শন, মনিটরিং, হেল্পলাইন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির তত্ত্বাবধান অব্যাহত রাখবে।
হস্তান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার, তৈরি পোশাক খাতের শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, আইএলওসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।