অ্যাকর্ডের কাজ আটকে গেল আদালতে

পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নতিতে দ্বিতীয় মেয়াদে আরও তিন বছর বাংলাদেশে থাকতে যে চুক্তি করেছিল ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড, তা আটকে গেছে আদালতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2017, 05:40 PM
Updated : 15 Oct 2017, 07:04 PM

একটি রিট আবেদনের শুনানিতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতা-প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অ্যাকর্ডের চুক্তির কার্যক্রমে রোববার স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ।

সেই সঙ্গে সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের অনুমোদন না নিয়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছে আদালত।

স্টিচটিং বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রধান পরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে ক্রেতা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।

তার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, যা সংক্ষেপে অ্যাকর্ড হিসেবে পরিচিতি পায়। তেমনি আমেরিকার ক্রেতাদের জোটের নাম হয় অ্যালায়েন্স।

বাংলাদেশে পোশাক কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ তদারক করে জোট দুটি।

আগামী বছরের মে-তে কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অ্যাকর্ড আরও তিন বছর এই পরিদর্শন চালিয়ে যেতে চাইছে। তবে তার বিরোধিতা করছে বাংলাদেশের শিল্প মালিকরা, সরকারও তাতে সায় দিচ্ছে।

এর মধ্যেই অ্যাকর্ডের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিরুদ্ধে গত বুধবার আদালতে আবেদন করেন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়াকার্স এমপ্লয়ীজ লীগ’র সভাপতি লিমা ফেরদৌস। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম।

ইমতিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের মে পর্যন্ত অ্যাকর্ড এদেশে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ২১ জুন নতুন একতরফা চুক্তিতে তারা মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে নিয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাবে অ্যাকর্ড।

“নতুন এ চুক্তিটি করতে অ্যাকর্ড সরকার, মালিকপক্ষ বা শ্রমিক পক্ষের অনুমোদন নেয়নি। ফলে এটি একতরফা চুক্তি। নতুন এই চুক্তিটি আগামী বছরের ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে আদালত।”