Published : 30 Apr 2025, 10:22 PM
সরকার আরও ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ দিয়েছে, যার মধ্যে নরসিংদীর লটকন, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গিও রয়েছে।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ এর আলোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “দেশের জিআই পণ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করার পর সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিকশিত করতে হবে। জিআই পণ্য আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে।
“এই পণ্য বাজারজাতকারীদের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। যার ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারীদের ক্ষমতায়ন হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণ জরুরি।”
জামদানি শাড়ি দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল। নতুন ২৪টি মিলিয়ে দেশে মোট জিআই পণ্যের সংখ্যা হল ৫৫টি।
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মেধা সম্পদ দিবসের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিল্পী, অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক আরমিন মুসা।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব গান। এদেশের মানুষ গানের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করে। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সংগীত নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বড় প্রকল্পের কাজ করছে। যা দেশের মানুষ কিছুদিনের মধ্যে দেখতে পাবে। সংগীতের কপিরাইট নিশ্চিত করতে হবে।”
সবশেষ জিআই সনদ পাওয়া পণ্যগুলো হল–
নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মনিপুরি শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, কুমিল্লার খাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না, সুন্দরবনের মধু, শেরপুরের ছানার পায়েস, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, গাজীপুরের কাঁঠাল, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান, অষ্টগ্রামের পনির, বরিশালের আমড়া, কুমারখালীর বেডশিট, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, নওগাঁর নাকফজলি আম, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ এবং ঢাকাই ফুটিকার্পাস তুলার বীজ ও গাছ।