দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাকে তিনি মারা গেছেন।
Published : 15 Jan 2025, 10:01 PM
দেশে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে সাড়া জাগানো তরুণ উদ্যোক্তা নূহের লতিফ খান আর নেই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মঙ্গলবার সকালে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নূহের লতিফ খান বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বেসরকারি কোম্পানি জুলস পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেডেরও এমডি।
জুলস পাওয়ারের এক কর্মকর্তা বলেন, “শুক্রবারের মধ্যেই তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তাকে সমাহিত করা হবে বনানীর আর্মি কবরস্থানে।”
দেশের একাধিক এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করেছে নূহের লতিফের কোম্পানি জুলস পাওয়ার। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে নির্মাণ করে সাড়া ফেলেন তিনি।
নূহের লতিফ দেশ এনার্জি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১৩ সালে তিনি দেশ এনার্জির দায়িত্ব ছাড়েন। এরপর জুলস পাওয়ার লিমিটেড গড়ে তোলেন।
নূহের লতিফ দেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলেন টেকনাফে। ২০ মেগাওয়াটের টেকনাফ সোলারটেক এনার্জির পর ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলেন।
বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ খাতে প্রথম আইপিপি কোম্পানি হিসেবে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি। টেকনাফের হ্নীলায় ১১৬ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম বড় এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
তার নেতৃত্বেই তরল জ্বালানি ও গ্যাস ভিত্তিক ১১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করেছে দেশ এনার্জি। তার জুলস পাওয়ার লিমিটেড ২০১৮ সালে যৌথভাবে জিতে নেয় ‘এশিয়ান পাওয়ার অ্যাওয়ার্ড’।
নূহের লতিফের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার’স অ্যাসোসিয়েশন।
পুরনো খবর-
টেকনাফে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পুরস্কার জিতলো প্রোয়িঞ্জো ও জুলস