টেকনাফে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পুরস্কার জিতলো প্রোয়িঞ্জো ও জুলস পাওয়ার

কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশের প্রধম বৃহদাকারের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য যৌথভাবে চলতি বছরের এশিয়ান পাওয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছে প্রোয়িঞ্জো ও জুলস পাওয়ার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2018, 05:48 AM
Updated : 26 Sept 2018, 02:24 PM

১৯ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এক অনুষ্ঠানে কয়েকশত শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও কোম্পানির নির্বাহীর উপস্থিতিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি জুলস পাওয়ারের সহযোগী টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি ও বৈশ্বিকভাবে সৌরবিদ্যুত খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রোয়িঞ্জো এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বৃহদাকারের এই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র চলতি মাসেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

২৮ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ‘সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট অব দ্য ইয়ার- বাংলাদেশ’ হিসেবে মনোনীত করেছেন বিচারকরা।

পরিবেশ দূষণ এড়াতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে যখন বিশ্বের সবাই; তখন বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের এই যাত্রায় বড় ভূমিকা রাখতে এসেছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড।

বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুত খাতে প্রথম আইপিপি কোম্পানি হিসেবে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি। ২৮ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই কেন্দ্রটি দেশের প্রথম বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি নির্মাণ করা হয়েছে উপজেলার হ্নীলায় ১১৬ একর জমির উপর। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ২০ মাসের মধ্যেই উৎপাদনে এসেছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি।

২০ বছরের চুক্তি অনুযায়ী, সুর্যের আলোর সময় টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।

জুলস পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুহের লতিফ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবিকে ধন্যবাদ।

“বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরও প্রকল্পে ভবিষ্যতে সংযুক্ত থাকতে পারলে ধন্য হব।”

মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।

এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় মোট বিদ্যুতের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বাংলাদেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার ‘এনগ্রিন সরিষাবাড়ী সোলার প্ল্যান্ট লিমিটেড’ নামের ওই কেন্দ্রে জমি দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বিনিয়োগ করেছে জার্মানির আইএফই এরিকসেন এজি, বাংলাদেশের কনকর্ড প্রগতি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ও জুপিটার এনার্জি লিমিটেড।