আটাব সভাপতি বলেন, “দাম বাড়লে ৫ শতাংশ বা ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। এটা লাগামহীন।”
Published : 05 Jan 2025, 06:44 PM
টিকেটের দাম সহনীয় রাখতে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা বিদেশি ২৪টি এয়ারলাইন্সকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠিটি পাঠান বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি রেগুলেশন্স ও ইন্সপেকশন অথোরাইজেশন) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আহসান হাবীব।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে প্রায়শই জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিশেষ করে বছরে যে সময়ে যাত্রীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পায়, সে সময়ে বিমান ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
“আমরা এয়ারলাইন্সগুলোর পরিচালন এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। অধিকন্তু, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধির স্বার্থে এবং যাত্রীদের ভ্রমণে আরও বেশি উৎসাহিত করতে উড়োজাহাজ ভাড়া বাড়ানোর প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।”
এতে বলা হয়, উড়োজাহাজের ভাড়া ভ্রমণকারীদের সাধ্যের মধ্যে রাখাটা তাদের যেমন স্বস্তি ও আস্থা দেবে, সেই সঙ্গে টেকসই এভিয়েশন খাত গড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং এতে আকাশপথে ভ্রমণ আরও বাড়বে।
এজন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের ভাড়ার তালিকা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন- অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) উড়োজাহাজ ভাড়া সহনীয় রাখার অনুরোধ জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল।
পরে, মন্ত্রণালয় থেকে আবার ভাড়া সহনীয় রাখতে এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বেবিচককে চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানা গেল ১২ ডিসেম্বর ওই চিঠি পাঠান।
সেই প্রেক্ষিতে এই বেবিচক এই চিঠিটি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ।
রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উড়োজাহাজগুলোর টিকেটের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দুই মাস আগেও যে টিকেটের দাম ছিল ৪০ হাজার টাকা, সেটি এখন বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হয়েছে।
“দাম বাড়লে ৫ শতাংশ বা ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। এটা লাগামহীন। এতে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রুটে টিকেটেরও স্বল্পতাও আছে। কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।”
টিকেটের স্বল্পতার জন্য ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোই কারণ মন্তব্য করে আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, “দেশি এয়ারলাইন্সগুলোরও ভাড়া কমানো উচিত। পাশাপাশি ফ্লাইট ক্যাপাসিটি বাড়ানো উচিত।
“৫ অগাস্টের পরে যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। তখন কমানো ফ্লাইটগুলো পরে আর বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়নি।”
এসব কারণে চাপ বেড়েছে জানিয়ে আটাব সভাপতি বলেন, “ফ্লাইটের সংখ্যা কমে যাওয়ায় টিকেটের প্রাপ্যতা কমেছে, দামও বেড়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করছে কি না, সেটি ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। ক্যাপাসিটি বাড়লে টিকেটও সহজলভ্য হবে, দামও কমবে।”