Published : 28 Jan 2025, 12:57 PM
আগের মতো বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রিতে ভ্যাট আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
গত ৯ জানুয়ারি এনবিআর জানায়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হলেই ভ্যাট দিতে হবে। ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটের হার ৩ শতাংশ, আর বার্ষিক লেনদেন এর বেশি হলে ভ্যাট দিতে হবে ১৫ শতাংশ।
দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ৩০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটের আওতার বাইরে রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা পূর্বেও করেছি, বর্তমানেও করছি।”
তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ী ভ্যাটের আওতার বাইরে। কিন্তু এনবিআর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শপিং মলে অবস্থিত দোকান ব্যবসাকে এর আওতার বহির্ভূত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেকটি পণ্যের উৎপাদন বা আমদানি পর্যায়ে এমআরপি নির্ধারণ পূর্বক ভ্যাট আদায় করা হোক। এতে দোকান ব্যবসায়ী ও ভোক্তা ভ্যাট নামের হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে।”
ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু বলেন, “উৎপাদন বা আমদানি পর্যায়ে এমআরপি নির্ধারণ পূর্বক ভ্যাট আদায় করার দাবি করছি। ঈদুল ফিতরের মাস ছাড়া অন্য যে কোনো মাসে ভ্যাট অভিযান পরিচালিত করার দাবি করছি।”
তিনি বলেন, “সকল পণ্যের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার পূর্বক ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত রেখে- সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শপিং মলে অবস্থিত দোকানসহ সকল দোকানের ক্ষেত্রে কার্যকর করার দাবি করছি।
“ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ব্যবসায়ীদের সুদ মওকুফ করে ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ১৫ বছরের কিস্তিতে এককালীন ঋণ সুবিধা দাবি করছি।”