জ্বালানি মহাপরিকল্পনাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা অব্যাহত রেখেছে, যা পরিবেশের স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি, বলে দাবি করেছে রিট আবেদনকারী।
Published : 03 Dec 2024, 08:13 PM
সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা, ২০২৩ (আইইপিএমপি) কেন বাতিলের আদেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করে।
ল’ইয়ারস ফর এনার্জি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (লিড) এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান, আবদুল্লাহ আল নোমান, মনিরা হক মনি ও শিমন রায়হান আইইপিএমপি ২০২৩ কে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করেন।
লিডের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, রুলে জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (সিপিপি) ২০২২-২০৪১ কেন দেশের মূল জ্বালানি নীতিতে থাকবে না এবং আইইপিএমপি ২০২৩ কেন বাতিল হবে না, তা জানাতে বলেছে।
“বাংলাদেশ যেন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে দেওয়া সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি পূরণে সচেষ্ট হয় এবং প্যারিস চুক্তি ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মত জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর বাধ্যবাধকতা মেনে চলে তা নিশ্চিত করাই তাদের এই আইনি পদক্ষেপের লক্ষ্য।”
রিট আবেদনকারীদের সংগঠন লিড এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইইপিএমপি পরিবেশ সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারা এবং এর পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অধিকারে জোর দেওয়া বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(এ) ধারার মূল চেতনা লঙ্ঘন করছে। জ্বালানি মহাপরিকল্পনাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা অব্যাহত রেখেছে, যা পরিবেশের স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ কারণে বন্যা, সাইক্লোন, খরার মতো চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনার মাত্রা ও পরিমাণ বাড়ছে, যেসব চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
টেকসই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিকাশের লক্ষ্যে ‘প্যারিস চুক্তি’ ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ‘ভিশন’ এর মত যেসব আন্তর্জাতিক চুক্তি রয়েছে, আইইপিএমপির দৃষ্টিভঙ্গি সেগুলোর সঙ্গে যায় না বলে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।