বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে পাঠানো রেমিটেন্স এখন বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে তোলা যাচ্ছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানায়, বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রবাসীরা যে রেমিটেন্স পাঠান তা সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজারের বেশি বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে সহজে তোলা যাচ্ছে।
এই সেবা এরইমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানায় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বাংলাদেশের এনসিসি ব্যাংক এবং বিকাশ যৌথভাবে এই ‘এজেন্ট অ্যাসিস্টেড মডেল (পিন ভিত্তিক রেমিটেন্স)’ সেবাটি চালু করেছে।
রেমিটেন্সের অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র ও সক্রিয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
টাকা তোলার সময় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রেমিটেন্স প্রেরণকারীকে যে ‘মানি ট্রান্সফার কন্ট্রোল নম্বর’ (এমটিসিএন) দেওয়া হয়, দেশে রেমিটেন্স উত্তোলনকারীকে সেই নম্বর দিতে হবে।
দেশে নতুন এই সেবার সেটেলমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে এনসিসি ব্যাংক৷
বিকাশ দিচ্ছে ক্যাশ ব্যাক
এই সেবা চালু উপলক্ষে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করলে ১০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ। একজন গ্রাহক প্রতিমাসে একবারই এই সুবিধা নিতে পারবেন। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অফার চলবে বলে জানায় বিকাশ।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর গৌরব ইয়াদাভ বলেন, “দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোই মুখ্য। এই কৌশলগত উদ্যোগ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফরমকে অর্থ লেনদেনে আরো বেশি সক্ষম করে তুলবে। আরও উদ্ভাবনী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে গ্রাহককে সরাসরি তার প্রিয়জনের পাঠানো অর্থ পৌঁছে দিয়ে তাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।”
বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ। প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিকাশ। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়াকে বেগবান করে তুলবে, একইসাথে রেমিটেন্স প্রেরণকারী ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।”
এনসিসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, “বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় রেমিটেন্স ব্যাংক হিসেবে এনসিসি ব্যাংকের লক্ষ্য ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট সুবিধা ও রেমিটেন্স সেটেলমেন্ট নিশ্চিত করা।”
এই সেবা গ্রাহকদেরকে বৈধ পথে নিরবচ্ছিন্নভাবে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এই পেমেন্ট মডেল অনুকরণীয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।