মহামারীরি মধ্যে আসছে বাজেটে জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে প্রশংসা করলেও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে ‘বাস্তবসম্মত’ মনে করছে না মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)।
Published : 13 Jun 2020, 05:16 PM
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজটে বিষয়ে শুক্রবার পাঠানো বিবৃতিতে এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বাজেট প্রস্তুত করা অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি কঠিন কাজ। গত পাঁচ মাসে কভিড-১৯ মহামারী বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের চলমান চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আগের বছরের মূল বাজেটের (৫ লাখ ২৩১৯০ কোটি) চেয়ে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বড়, সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বড়। প্রস্তাবিত বাজেট জিডিপির (৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরির বাজার পুনরুদ্ধার,নতুন বাজার সৃষ্টিতে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন ছিল বলে এমসিসিআই বলছে।
নিহাদ কবির বলেন, মহামারীর ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি শুরু হওয়ায় আগামী অর্থবছরটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দেবে। রাজস্ব আহরণ হবে খুবই কঠিন ব্যাপার। চলমান অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে ২৫ শতাংশ ঘাটতি হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
“এর পরেও আগামী বাজেটে রাজস্ব আহরণে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে একেবারেই কঠিন কাজ। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিয়ে আসছে তাদের ওপর এনবিআরের চাপ বেড়ে যাবে।”
বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ ধরা হলেও অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় এটা আরও আরও বাড়বে বলে মনে করছে এমসিসিআই। তবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা আরোপ করে কিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ, অপচয় ও অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে বাজেটের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে দেশের অন্যতম পুরনো এই চেম্বার।
“ব্যংকঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যাধিক সতর্ক থাকতে হবে যেন এর ফলে বেসরকারি ব্যংকে পিছিয়ে পড়া ক্রেডিট গ্রোথ আরও গতিহীন না হয়ে পড়ে।”