নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৬৯ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
Published : 03 Jun 2021, 08:05 PM
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেটে এই প্রস্তাব করেন।
মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে দেওয়া নতুন বাজেটে এই যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ আগের চেয়ে প্রায় দেড় শতাংশ বেড়েছে।
বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে যোগযোগ অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলার মধ্যে এবারের বাজেটে মোট ব্যয়ের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামোয়।
বরাদ্দের নিরিখে বেতন-ভাতার ব্যয় আর শিক্ষা-প্রযুক্তি খাতের পরেই এই খাতটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ২৬টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান আছে।
বর্তমানে এলেঙ্গা-হাটিকুমরল-রংপুর মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে।
মেট্রোরেলের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে যাত্রী চলাচল ২০২২ সালের মধ্যে শুরু করার আশা করা হচ্ছে। এমআরটি লাইন-৫ এর নকশা ও সম্ভাব্য সমীক্ষা শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।
সেতু ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগামী বছরের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।”
অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকা এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের বনানী-বিমানবন্দর অংশে ৬০ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে এবং প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ২৪ শতাংশ। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ৬৫ শতাংশ ভৌত কাজ শেষ হয়েছে।
রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০৪৫) মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার, মোংলা বন্দর, টুঙ্গীপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্রগ্রামসহ অন্যান্য এলাকা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনাসহ নানা পরিকল্পনার কথা বলা হয় বাজেট বক্তৃতায়।
এ মহাপরিকল্পনায় আওতায় ৬টি ধাপে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।