শুক্রবার বিকালে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মুহিত বলেন, “কোনো খাতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নেই। বাজেট বক্তৃতায় যদিও বিষয়টি আমি বলিনি। তবে এখন বলছি, আগে এ বিষয়ে যেসব সুযোগ ছিল তা বাতিল হল।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিনটি খাতে (ফ্লাট ও জমি কেনা এবং ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই সুবিধা নিয়ে এ পর্যন্ত এসব খাতে মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ট্যাক্স পেয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।”
তার মানে কি দেশে কালো টাকা নেই-প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর।
“কিন্তু কালো টাকা আছে। যেহেতু এই সুবিধায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, সেই কারণে এটা বন্ধ করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। দুই মেয়াদে টানা ছয়টি বাজেট দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করলেন তিনি।
এরশাদের সময় দু’টিসহ তার দেয়া বাজেটের সংখ্যা দাড়াল আটে।
মুহিতের এবারের বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রথা অনুযায়ী বাজেটের পরদিন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকতাদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন অর্থমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর ডান পাশে বসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আর বাম পাশে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) ও অর্থ প্রতিমিন্ত্রী এ এ মান্নান।
বিকেল সোয়া ৪টায় শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ৩০ জন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন মুহিত।
শুরুতেই অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুহিত বলেন, “কাল (বৃহস্পতিবার) আমি লম্বা বাজেট পড়েছি। আজ আমি কিছু বলবো না। আপনারা প্রশ্ন করবেন, আমি এবং আমার মন্ত্রিপরষিদের সদস্যরা উত্তর দেব।
“আজ আপনাদের হাতেই সব কিছু।
“আমার দেয়া প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংসদে পুরো জুন মাস ধরে আলোচনা হবে। ২৯ জুন পাশ হবে।”
জমি বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি কালো টাকা
কালো টাকা জন্ম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুহিত বলেন, “জমি বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি কালো টাকার জন্ম হয়। যে দাম ঠিক হয়- রেজিষ্ট্রেশনে তার চেয়ে অনেক কম দেখানো হয়। এটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি আমরা।
আশা করছি খুব শিগগিরই একটা সুরাহা বের করতে পারব।”