বাগেরহাটে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৪টি মাথা, ৩টি চামড়াসহ বিপুল পরিমাণ হাড়গোড় উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে বাগেরহাট সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার বাংলাবাজার এলাকা থেকে বাঘশিকারী জামাল ফকিরকে আটক করা হয়েছে।
এবিষয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও মিহির কুমার জানান, বাঘশিকারী একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ বন থেকে বাঘ শিকার করে এনে চামড়া, মাথা ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিক্রি করে আসছিল।
এ খবর পেয়ে বনরীদের একটি দল ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করেন। গত ৩ দিন আগে বনরীরা এসবের জন্য ১৬ ল ৭০ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
বুধবার সকালে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে শিকারী জামাল ফকিরকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় তার স্বীকারোক্তিমতে, বাংলাবাজার গ্রামের আল আমিনের পরিত্যক্ত বাড়ির খড়কুটার মধ্যে লুকিয়ে রাখা বাঘের ৪টি মাথা, ৩টি চামড়া ও বস্তায় ভর্তি হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
—————————————————-
বাংলানিউজ২৪, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১
ডিএফও মিহির কুমার দো আরও জানান, আটক জামাল আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সদস্য কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী নিধন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক জামাল ফকির জানান, এক মাস আগে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সোহাগ বাহিনীর সহায়তায় তার ৩ সদস্য বনের দুধমুখী ও হরিণ টানা এলাকায় বিষটোপ ও ফাঁদ পেতে এই বাঘ শিকার করে তার চামড়া, মাথা ও হাড়গোড় পাচারের জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে।
আটক জামাল ফকির শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফলবাড়ি গ্রামের সেকেন্দার ফকিরের ছেলে।