পিঠে-পুলি নিয়ে ব্যাংককে প্রবাসীদের পৌষ উৎসব

Published : 3 Jan 2021, 11:57 AM
Updated : 3 Jan 2021, 11:57 AM

বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল লাল-সবুজ পুলি পিঠা। ছবি – কাজী এহতেশাম উদ্দীন

প্রবাসে বাস হলেও দেশে পরিবার-স্বজন নিয়ে কোনো উৎসবে মেতে ওঠাকে আমরা অনুভব করি এক অনন্য অনুভূতি দিয়ে।

থ্যাইল্যান্ডে অবশ্য বাঙালি কমিউনিটি খুব বেশি বড় নয়; কিন্তু তাতে তো  পৌষের পিঠে-পুলি খাওয়ার মজা থেকে বাদ থাকা যায় না।

ব্যাংককে প্রবাসী বাঙালিরা মিলে সেখানে নতুন প্রজন্মকে দেশীয় পার্বণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করেছে পিঠা উৎসব।

এখানকার অ্যাজাম্পসন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে গত ১৯ ডিসেম্বর হয়ে গেলে এই মিলনমেলা।

মূলত এই আয়োজনের পেছনে ছিলেন একদল কর্মজীবী ও গৃহিনী-মায়েরা।   প্রবাসেও দেশীয় স্বাদে হরেক পিঠার ডালি সেজে উঠেছিল তাদের কারণেই।

ব্যাংককে প্রবাসীরা সাজিয়েছিল পিঠার ডালি। ছবি – কাজী এহতেশাম উদ্দীন

গোলাপি শাড়িতে সেজেছিল নারীরা। ছবি – শরিফ হক সুমিত


পিঠা উৎসবে পুরুষরাও সেজেছিল নীলে। ছবি – শামসুন নাহার

বিদেশের মাটিতে এই আয়োজনে বাদ যায়নি তেলের পিঠা, পুলি, ভাপা, দুধ পুলি, চিতই, পাটিসাপটা, রঙিন পাটিসাপটা।

স্বাদ তো বটেই; ফুলঝুরি, হৃদয়হরণ, গোলাপ পিঠা, ঝাল লবঙ্গ লতিকা, বিবিখানা, রঙ্গিলা পিঠা আগতদের নজর কেড়েছিল নামের কারণেও।

পিঠার রঙ-রস ও নকশায় পেট ও মন দুটোই ভরেছিল বাঙালিদের। ছবি – শরিফ হক সুমিত

বিবিখানা পিঠার নজর কাড়া পরিবেশনা। ছবি – শরিফ হক সুমিত

স্বাদ ও নকশায় পুরোপুরি দেশীয় এই নকশি পিঠা। ছবি – শরিফ হক সুমিত

গুড়ের পায়েস, হাতে কাটা সেমাই পিঠা, মুগপাকন, রস ডোবা পিঠা, ডিমের পান্তোয়া খেয়ে শুধু যে মিষ্টিমুখ করেছে সবাই তা নয়; ঝাল পোয়া, ঝাল চাপড়ি, ঝাল পুলি, ঝাল চিতই খেয়ে দেশীয় পিঠার স্বাদের বৈচিত্র্যও টের পেয়েছে সবাই।

নকশি পিঠার পিঠে সূক্ষ্ণ কারুকাজ এখানে আমাদের সবাইকে দেশকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল বারবার।

বাহারি নামের পিঠা ছিল উৎসবে। ছবি – শরিফ হক সুমিত

গোলাপি রঙের কেক। ছবি – শরিফ হক সুমিত

পিঠা উৎসবে শুধু যে খাওয়াই হয়েছে তা নয়; সেদিন পার্বণের আনন্দ দ্বিগুণ করেছিল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। তারপর ছিল শিশুদের পরিবেশনায় কবিতা আবৃত্তি, নাচ; ছিল বাংলার জনপ্রিয় গানের পরিবেশনা। তাতে গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠতে ভোলেননি কেউ।

এখানেই শেষ হয়নি উৎসবের আনন্দ। এসবের পর সবার জন্য ছিল নৈশভোজের ব্যবস্থাও।

প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে আর অনেক রকম সীমাবদ্ধতা মাঝেও পিঠা-পুলির এই উৎসব আমাদের কিছুক্ষণের জন্য যেন দেশেই ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।