বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই নাগরিক জীবন আটকে গিয়েছিল চার দেওয়ালের ভেতরে। অবরুদ্ধ থাকতে থাকতে আবার তা ক্লান্তও করেছিল মানুষকে। মানুষ ঘরে থেকেও খুঁজে বেড়াতো একটু বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার উন্মুক্ত জায়গা।
লকডাউন শিথিল হওয়ার সময় ঢাকার আশুলিয়া বেড়িবাঁধ তেমনি প্রশান্তির জায়গা হয়ে দেখা দিল অনেকের কাছে। মাস দুয়েকের লকডাউনে কর্মহীন মানুষগুলোরও দু'পয়সা রোজগারের সুযোগ হলো এতে।
একদল প্রকৃতিপ্রেমী তরুণ-তরুণী আর বয়োজেষ্ঠদের শান্ত তুরাগের পাড় চঞ্চল করে তুলতে দেখলাম ঈদের পরদিন। ক্যামেরায় সেই দিনের চাঞ্চল্য ধরে রাখলাম।
তুরাগ নদীর ওপর আশুলিয়া ব্রিজ দিয়ে যান চলছে। হেঁটে পার হচ্ছে মানুষ। চলছে রিকশাও। কেউ ব্রিজের ধারে বসে গল্প করছে।
ছোট একটা নৌযানে পিপিই পড়ে বসে থাকতে দেখা গেল একজনকে।
এক সময় আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন পারাপারে মুখর ছিল। অবরুদ্ধ দুই-আড়াই মাসে সেখানে এসেছিল স্থবিরতা। মহামারীর দিন না শেষ হলেও কঠোর লকডাউনের দিন শেষ হয়ে আসায় এখানটা আবার ব্যস্ত হয়ে ওঠার দিন গুণছে।
তুরাগের বুকে নৌকা ভাসানো হয়েছে , তবে যাত্রি হাতে গোনা কয়েকজন।
কিছু যাত্রী নিয়ে পারাপারের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছোট নৌযানটি।
এই নৌযানগুলো আগের কর্মচাঞ্চল্য হারিয়েছে লকডাউনের সময়। তবে আবারো নদীতে ভেসে চলার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।