অবকাশকালীন বেঞ্চসমূহের মধ্যে ৭টি দ্বৈত এবং ৪টি একক বেঞ্চ রয়েছে।
Published : 24 Mar 2024, 06:49 PM
অবকাশকালে হাই কোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ১১টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এছাড়া আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের দায়িত্বও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগের অবকাশ শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
এ সময় আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতসহ হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে।
হাই কোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। এর মধ্যে সাতটি দ্বৈত এবং চারটি একক বেঞ্চ।
এছাড়া আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে চেম্বার জজ আদালত পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলামকে মনোনয়নের কথা জানানো হয়।
বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ২৪, ২৭, ৩১ মার্চ এবং ৩, ৮, ৯ ও ১৫ ও এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানি গ্রহণ করবেন।
হাই কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ ও দায়িত্ব
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ ২৫ মার্চ, ২৭ মার্চ এবং ১, ২, ৩, ১৬ ও ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি বিষয় সংক্রান্ত রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ ২৪, ২৫, ৩১ মার্চ এবং ১, ২, ৮, ৯, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের একক বেঞ্চ ২৪, ২৭ মার্চ এবং ১, ২, ৮, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি কোম্পানি আইনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার একক বেঞ্চ ২৫, ২৭, ২৮, ৩১ মার্চ এবং ২, ৩, ৪, ৮, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি দেওয়ানি, কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি কোর্ট আইনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চ ২৫, ২৭, ২৮, ৩১ মার্চ এবং ১, ২ ও ৩ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুদক ও মানি লন্ডারিংসহ অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ ২৭, ২৮ মার্চ এবং ১, ২, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি রিট ও ফৌজদারি আবেদন (দুদক ও মানিলন্ডারিং ব্যতীত) এবং হাই কোর্ট বিভাগ ও অধীনস্ত আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ ২৫, ২৭ মার্চ এবং ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি রিট আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চত্রবর্তী ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ ২৪, ২৫, ২৭, ২৮, ৩১ মার্চ এবং ১, ২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত অতি জরুরি দেওয়ানি মোশন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বেঞ্চ ২৭, ২৮, ৩১ এবং ১, ৩, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত দুদক ও মানি লন্ডারিং আইনসহ অতি জরুরি ফৌজদারি মোশন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি ফাতেমা নজীবের একক বেঞ্চ ২৪, ২৫, ২৮, ৩১ মার্চ এবং ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত দুদক ও মানি লন্ডারিং আইনের বিষয়সহ অতি জরুরি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোশন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।
বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের একক বেঞ্চ ২৪, ২৫, ২৭, ২৮ মার্চ এবং ১, ২, ৩, ৪ ও ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদক ও মানি লন্ডারিং আইনের বিষয়সহ অতি জরুরি দেওয়ানি ও ফৌজদারি আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবে।