আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, “তাপমাত্রা আর কমার আশঙ্কা নেই। কাল থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।”
Published : 28 Jan 2024, 09:59 AM
দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে তাপমাত্রা আর কমার আশঙ্কা নেই। কাল থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।”
দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় পরপর দুই দিন পারদ ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ারের এর ঘরে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তাই পঞ্চগড়ের পরিস্থিতিকে এখনই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলছে না আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবারও তেঁতুলিয়ার ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
দেশের মোট ২৮ জেলায় এখন মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। রোববার সকাল পর্র্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার নেমে যায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজুপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার রেকর্ড রয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।
২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনে বি্ঘ্ন ঘটতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।