ইসির এক কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে

ইসিতে এর আগে ওএসডির নজির ছিল, এবার অবসরই দেওয়া হল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2023, 12:03 PM
Updated : 12 March 2023, 12:03 PM

নতুন এক নজির গড়ল নির্বাচন কমিশন, এক কর্মকর্তাকে পাঠাল বাধ্যতামূলক অবসরে।

ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করেছে ইসি সচিবালয়।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফরিদপুর এ আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হল।

চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।

মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন।

তখন প্রশিক্ষণের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে সাত পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন সম্প্রচার করে বৈশাখী টেলিভিশন। তাতে অভিযোগ তোলা হয়, মোস্তফা ফারুকসহ নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণে কোর্স পরিচালক ও বিশেষ বক্তাসহ একাধিক পদে থেকে অনেক টাকা নিজেরা নিয়েছেন।

এরপর ২০১৯ সালে ২৮ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাকে অবসরে পাঠান হল।

এই বিষয়ে মোস্তফা ফারুকের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

নানা অভিযোগের মুখে নির্বাচন কমিশনে এর আগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নজির থাকলেও অবসরে পাঠানোর ঘটনা দেখা যায়নি।

২০০৬ সালে বিচারপতি এম এ আজিজ নেতৃত্বাধীন বিতর্কিত কমিশনের সময় ইসি সচিবালয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জকরিয়াকে ওএসডি করা হয়েছিল। সেসময় এম এ আজিজের একান্ত সচিব ছিলেন মোস্তফা ফারুক।

কর্মকর্তারা জানান, ইসির ৭৯২টি প্রথম শ্রেণি ও ২ হাজার ৩৭টি অন্যান্য শ্রেণির অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে ইসি সচিবালয়ে রয়েছে ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তাদের একই কর্মস্থলে ২৫ বছরেরও বেশি সময় কাটানোর নজিরও রয়েছে।

তবে ২০০৮ সালে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদের আগে চাকরিবিধি সংশোধন করে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের ব্যাপক রদবদল করে। বর্তমান ইসিও রদবদল অব্যাহত রেখেছে।

Also Read: নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ ইসির চার পদে রদবদল