নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ ইসির চার পদে রদবদল

নির্বাচনী প্রশিক্ষণের অর্থ ব্যয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুককে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2019, 11:11 AM
Updated : 28 August 2019, 11:11 AM

তাকে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামানকে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদারকে। আর সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. ইসরাইল হোসেনকে ইসি সচিবালয়ের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এস রদবদলের কথা জানানো হয়।

এই কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা, যুগ্মসচিব সমমানের পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৯ লাখ লোকবলের প্রশিক্ষণে ১১৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ও মাঠ পর্যায়ে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে সম্প্রতি সাত পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন সম্প্রচার করে বৈশাখী টেলিভিশন। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকসহ নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা কোর্স পরিচালক ও বিশেষ বক্তাসহ একাধিক পদে থেকে অনেক টাকা নিজেরা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এই খবর প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের ওই চার পদে রদবদল করা হল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রদবদল নির্বাচনী প্রশিক্ষণের বিষয় এখানে সম্পৃক্ত না। কোনো অভিযোগের কারণেই এ মুহূর্তে চার কর্মকর্তার রদবদল করা হয়েছে তা নয়। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো সময় যে কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় ইসি সচিবালয়ও তাই করেছে।”

অপরদিকে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত ৬১ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ টাকা বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে অব্যয়িত ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের জন্য ৬১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকা বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে অব্যয়িত ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

“সব খরচ সমন্বয় করে প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিএন্ডএজির দপ্তর থেকে সিটিআর সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ নিরীক্ষা শেষে অনাপত্তি নেওয়া হয়েছে,” বলেন ইটিআই মহাপরিচালক।