প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
Published : 15 Apr 2023, 03:21 PM
ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের আগুন সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুন পুরোপুরি নেভানো এবং উদ্ধার কাজে ওই ভবনে ঢুকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নিউ মার্কেট লাগোয়া তিন তলা ওই ভবনে এদিন সকালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মইন উদ্দিন।
তবে তারপরও ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে ওই বিপণি বিতান থেকে; যেখানে পোশাকের দোকানই রয়েছে বেশি। পোশাক পুড়েই ধোঁয়া উড়ছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন।
আগুন লাগার খবরে সকালে ছুটে এসে দোকান মালিকরা ফায়ার সার্ভিসের কাজের মধ্যেই ভেতরে ঢুকে মালামাল বের করে আনা শুরু করেছিলেন।
তবে ধোঁয়া বেড়ে যাওয়ায় এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ভবনে অন্যদের ঢোকা বন্ধ করে দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরাই কেবল ভেতরে ঢুকছিলেন আগুন নেভানোর কাজ করতে। তবে তাদের অনেককে অসুস্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কেটটির দোকানগুলোর ফ্লোরে প্রচুর পরিমাণে মালামাল স্তূপ করে রাখা। সেগুলো থেকে থেমে থেমে ফুসে ফুসে আগুন উঠছে। যার কারণে ধোঁয়া হচ্ছে প্রচুর।
“ব্রিদিং অ্যাপারেটাস নিয়েও ভেতরে বেশিক্ষণ থাকতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যার কারণে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগছে বেশি। অনেকগুলো দোকান ভেতরে তালা মারা। এগুলো থেকে মালামাল সরিয়ে ফেলতে পারলে আগুন নেভানোর কাজ শেষ হবে।”
মোহাম্মদ মঈন নামে একজন ভেতর থেকে পুরোপুরি ভেজা অবস্থায় বেরিয়ে বলেন, “ভেতরে ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না, আর প্রচণ্ড গরম। সবমিলিয়ে সেখানে বেশিক্ষণ থাকার মতো অবস্থা নেই।
“ফায়ার সার্ভিসের মারা যে পানি মেঝেতে জমে রয়েছে, সেটাও গরম। ভেতরে ঢোকার পরপরই খালি পানির তৃষ্ণা জাগে।”
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রচুর পানি পান করছেন।
নৌবাহিনীর একজন সদস্যকে দেখা গেল হ্যান্ডমাইকে খাবার পানি সরবরাহের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন। তিনি বারবারই মাইকে ঘোষণা দিচ্ছিলেন, “এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য খাবার পানি ডোনেট করুন।”