পাবলিক-প্রাইভেট অংশিদারিত্বে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
Published : 17 May 2023, 06:25 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের।
বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে মডেল হিসেবে নিতে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাব পাসের খবর জানাতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্য সচিব।
তিনি বলেন, “একটা আনন্দের সংবাদ দিতে চাই। সবাই আনন্দিত হবেন যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী মডেল বা উদ্ভাবনী উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি রেজুলেশন হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার একটা চূড়ান্ত স্বীকৃতি প্রদান হয়েছে।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জাতিসংঘের স্বীকৃতি সেটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সবাই গর্ব করতে পারি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে এক অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেল এই রেজুলেশনের মাধ্যমে।”
কমিউনিটি ক্লিনিককে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব বা পিপিপির একটা অনন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তোফাজ্জল।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে জমি জনগণ দিচ্ছে, ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার, সেবাদানে স্বাস্থ্যকর্মী, সেটি সরকার দিচ্ছে। ওষুধ, যন্ত্রপাতিসহ সকল উপকরণ সরকার দিচ্ছে।”
জাতিসংঘের প্রস্তাবে অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত বলছে।
কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত
“জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন বাংলাদেশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে গ্রহণ করে এবং বাস্তবায়ন করেন।”
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া বা স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতার তৈরি হয়েছে, সেগুলো সবই কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই শুরু।
“কমিউনিটি ক্লিনিকের যে স্বাস্থ্য সেবা এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, গর্ভবতী এবং প্রসূতির স্বাস্থ্য, নবজাতক এবং শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা, সংক্রামক-অসংক্রামক যাবতীয় রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।”
সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, আমাদের নবজাতকের যে মৃত্যু সেটি হ্রাস পেয়েছে। সংক্রামক, রোধ প্রতিরোধ হয়েছে, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ হয়েছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা হচ্ছে।”