কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে বিএনপি সমর্থকরা।
Published : 25 Feb 2023, 01:21 PM
বিএনপি সমর্থকদের বর্জনের মধ্যে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল সব পদে জয় পেয়েছে।
দুদিন ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আবু ফল ঘোষণা করেন।
দেশের বৃহত্তম এ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়; মোট ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ২৪৩ জন ভোটার ভোট দেন।
তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বুধবার রাতেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থক জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা।
নির্বাচনে ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৬ জন। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মিজানুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, সিনিয়র সহসভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহসভাপতি শ্রী প্রাণ নাথ, ট্রেজারার বিবি ফাতেমা (মুন্নী), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেন (জয়), লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রেজাউল হক মিয়া (রিপন), সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিখা ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া (সুমন), ক্রীড়া সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আবুল হাসনাত জয় পেয়েছেন।
এছাড়া সদস্য পদে গাজী ইমরুল, জহির উদ্দিন, আশিফুল ইসলাম (মুরাদ), আসলাম হোসেন, মো. কামাল হোসেন, তানজির হোসেন (রবিন), মোছা. ইসমত আরা শারমিন (রীমু), নাসির উদ্দিন, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, শারমিন সুলতানা টুম্পা ও ইয়াসিন জাহান (নিশান) জয় পেয়েছেন।
ঢাকা বারের ভোট বর্জন বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের
নির্বাচনে বিএনপি-জামাত প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
কারচূপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ বলেছিলেন, প্রথম দিনে ১৪টি কাউন্টারে ভোট গ্রহণ হয়েছে। যেখানে চার হাজার ২৩ ভোট। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পাঁচ হাজার ২৮টি ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। পরে কোন কাউন্টারে কত ভোট হয়েছে হিসাব নিয়ে দেখা গেছে চার হাজার ২৩ ভোট হয়েছে।
“প্রথম দিনে এক হাজার পাঁচ ভোট কারচুপি করেছে। আমরা এসব জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বলি যে আজকের বুধবারের ভোটের মুড়ি ও স্লিপের হিসাবে ব্যবধান কেন? প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘তারা এর উত্তর দিতে বাধ্য নন’। আবদুল্লাহ আবু আমাদের বলেন, ‘দুই দিনের (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ভোট শেষ হলে এসবের উত্তর পাওয়া যাবে’।
“আমরা দেখেছি গতবারেও তারা এ কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধানসহ ১১৩ জনের মধ্যে আমাদের মনোনীত সদস্য রাখা হয় মাত্র ৩২ জনকে। অথচ কয়েক সেশন আগে নির্বাচন কমিশনে দুই পক্ষেরই শতকরা ৫০ ভাগ, অর্থাৎ অর্ধেক করে সদস্য রাখা হত। তারা হেরে যাওয়ার ভয়ে জাতীয় নির্বাচনের মত অপকর্ম শুরু করেছে। সে কারণে আমরা ভোট বর্জন করেছি।”