কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “পুলিশও অনেক সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করে।”
Published : 02 Apr 2024, 11:23 PM
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ২৮২টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল সোনারগাঁয়ে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময়’ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, যে অভিযোগগুলো এসেছে, তার মধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে ১৩০টির। ১২৯টি নিয়ে কাজ চলছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২৩টি অভিযোগ।
অন্যদিকে ৫১টি ঘটনায় কমিশন স্ব উদ্যোগে তদন্ত শুরু করে। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২টি, ৩৯টি চলমান রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “পুলিশও অনেক সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করে। সবাই যে করে তা না৷ দেখা গেল, পুলিশ পরিচয়ে কাউকে তুলে নেওয়া হল। এমন কিছু হলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় এসেছে, এমন ঘটনাও আছে।”
তিনি বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ নারী বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে; সে বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করছে মানবাধিবার কমিশন।
“একটা মেয়ের ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়, তারপর একটা শিশু হয়ে তাকে আরেকটা শিশুকে ধারণ করতে হয়; যেটা তার শরীর নিতে পারে না। যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পরে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করে বাল্যবিয়ে মুক্ত গ্রাম ঘোষণা করছি।”
অনুষ্ঠানে পরিপ্রেক্ষিত এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, মানবাধিকারের পক্ষে গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে গণমাধ্যম।
“যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সঙ্কুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক।”
মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিকাশে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আইনি সুরক্ষা, সঠিক তথ্য প্রাপ্তি সহজ করা ও নেটওয়ার্ক তৈরির সুপারিশ করেন তিনি।
সুপারিশগুলো নিয়ে কাজ করার প্রাথমিক পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।