আদিলুর-এলানের জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব, ‘চরম হতাশ’ সরকার

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের শাস্তির বাতিল চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে ‘চরম হতাশা’ প্রকাশ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ওই প্রস্তাব পাসের পর এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কিছু সদস্যের এই প্রস্তাব ‘একটি সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার অভিপ্রায়ের প্রতিফলন’।

১০ বছর আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে এদিনই আদিলুর ও এলানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিচারিক কার্যক্রম উন্মুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার নিশ্চয়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং প্রত্যেক পক্ষের অধিকারকে সেখানে সম্পূর্ণভাবে সম্মান দেখানো হয়।

কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ‘প্রতিবন্ধকতা, প্রভাব, প্ররোচনা, চাপ, হুমকি কিংবা হস্তক্ষেপ’ ব্যতিরেকে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে অধিকার’র মতো ‘বিধি লঙ্ঘনকারী ও রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ সংস্থার বিষয়ে পক্ষপাতে বাংলাদেশ সরকার ‘হতবাক’।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার পাস হওয়া প্রস্তাবে বাংলাদেশের ‘অবনতিশীল’ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর এবং পরিচালক এলানের সাজা বাতিলের আহ্বান জানান হয়।

প্রস্তাবের লেখার সঙ্গে সরকার ‘ভিন্নমত’ পোষণ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ এর সব সংস্থার সঙ্গে ৫০ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ককে প্রবলভাবে গুরুত্ব দেয়। এবং পারস্পরিক সম্মান ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে একই ধরনের সম্পৃক্ততা বজায় রাখার প্রত্যাশা করছে।”

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)