রাজধানীর একটি কাপড়ের দোকানের এ কর্মী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করছিল।
Published : 03 Apr 2024, 12:54 AM
ঢাকার ইসলামপুরের একটি কাপড়ের দোকানের টাকা চুরির ঘটনায় এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে দুই স্ত্রী রেখে ওই ব্যক্তি প্রেমিকাকে নিয়ে ‘আমোদফুর্তি’ করতে টাকা নিয়ে পালিয়েছিল।
ঢাকার ইসলামপুরের ‘নাশওয়ান ফ্যাশন’ নামে নারীদের কাপড়ের দোকানের কর্মী সাঈদ আহমেদ ৩৩ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়েছিল, যাকে সোমবার তার কথিত প্রেমিকা রিতার (৩২) বাড়ি ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিতাকেও।
লালবাগ (গোয়েন্দা) বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৪ মার্চ ঢাকা থেকে পালিয়ে সাঈদ গাজীপুর হয়ে নরসিংদী থেকে বগুড়ায় ঘুরতে যান। এরপর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেতুলিয়ায় যান। পরে তার কথিত প্রেমিকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার সদর থানার বাসিন্দা সাঈদ ওই দোকানে ২০২৩ সালে চাকরি নেয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বস্ততা অর্জন করায় দোকানের মালিক তাকে অনেক ধরনের দায়িত্ব দেয়। এরপর সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তার আগের নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস।
তার দুই স্ত্রী থাকার কথা জানিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, গত ২২ ও ২৩ মার্চ ব্যাংক ছুটি থাকায় বিক্রির প্রায় ৩৩ লাখ টাকা দোকানের সিন্দুকে ছিল। ২৪ মার্চ দোকান খোলার পর মালিকের নির্দেশে ওই টাকা নিয়ে ব্যাংকের যাওয়ার পর কৌশলে পালিয়ে যান।
মশিউর বলেন, গোয়েন্দাদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ওই কর্মচারী বলেছেন ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে সরাসরি গাজীপুরে ওই প্রেমিকা রিতার কাছে যান। সেখান থেকে দুইজনে যায় নরসিংদী। সেখান থেকে বগুড়ায় গিয়ে ব্যাপক কেনাকাটা করে। পরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেতুলিয়ায় যায়। ওই পথে অবৈধভাবে তাদের ভারত যাওয়ার কথা ছিল।
ডিসি মশিউর বলেন, দোকান মালিকের মামলার পর গোয়েন্দা পুলিশ তৎপরতা বাড়ালে তারা ভারত যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরে চলে আসে। পোশাককর্মী রিতা বিবাহিত।
সাঈদের কাছ থেকে ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।