নয়া পল্টনে ‘ইন্টারনেট বন্ধ’ করতে বলা হয়নি, দাবি বিটিআরসির

নয়া পল্টনে সকাল থেকেই ইন্টারনেটের গতি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

শনিবার নয়া পল্টনের সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রাজধানীর নয়া পল্টনে শনিবার বিএনপির সমাবেশ স্থল এলাকায় ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকলেও সে রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

সকাল থেকেই নয়া পল্টন এলাকায় ইন্টারনেটের গতি না পাওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংবাদকর্মীরাও কাজ করতে গিয়ে পড়ছেন বেকায়দায়। ছবি বা ভিডিও ধারণ করে সমাবেশ স্থল থেকে দূরে কোথায় গিয়ে সেগুলো অফিসে পাঠাতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে দুপুরে একটি মোবাইল অপারেটরের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবেশের আগের রাতেই আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়- যাতে সমাবেশস্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট টু-জি করে দেই আমরা। তবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়নি।”

এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কেন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে বলব? এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমরা দেইনি।”

জাতীয় নির্বাচনের আগে শনিবার নয়া পল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। পরে একই দিনে বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। আর জামায়াত সমাবেশের ঘোষণা দেয় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে।

নয়া পল্টনে বিএনপি সমাবেশ শুরু করলেও দুপুরে কাকরাইলে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায় তাদের। প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। তবে আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ চালিয়ে যায় জামায়াত।