পিত্তথলির পাথর অপসারণের সময় এই চিকিৎসকরা রোগীর নাড়ি ছিদ্র করে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
Published : 12 Jan 2023, 10:14 PM
মায়ের মৃত্যুর জন্য ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আহমদ রাফি নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটির আবেদন করেন রাজধানীর ফার্মগেটের এই বাসিন্দা। মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবির বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে শেরেবাংলা নগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১-এর চিকিৎসক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, নাদিম আহম্মেদ, তানিয়া ও আরাফাত।
অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসকদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
আদালতের পেশকার হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার পর শেরেবাংলা নগর থানায় যান মামলা করতে গিয়েছিল মৃতের পরিবার। পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেছে ওই পরিবার।
রাফির আবেদনে বলা হয়েছে, তার মা মারুফা বেগম মেরী পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের অধীনে সার্জারি ইউনিট-১-এ ভর্তি হন। আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৮ ডিসেম্বর মেরীর অপারেশন হয় উল্লেখ করে রাফি অভিযোগ করেছেন, অপারেশনের আধাঘণ্টা পর ডা. নাদিম জানান- রোগীর হার্নিয়া ছিল, অপারেশন করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্নিয়ার বিষয়ে রোগী বা তার স্বজনদের কিছুই জানানো হয় না।
অপারেশনের সময় রোগীর নাড়ি ছিদ্র করে ফেলা হলেও চিকিৎসকরা বিষয়টি চেপে যান অভিযোগ করে আবেদনে বলা হয়, নাড়ি ছিদ্র সংক্রান্ত জটিলতায় মেরীর শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে জ্বর ও ডায়রিয়া হয়, ফুলে যায় পেট। অপারেশনের ৬ দিন পর ২৪ ডিসেম্বর নাড়ি ছিদ্রের বিষয়টি জানান চিকিৎসকরা।
পরে নিজেদের খরচে ওই চিকিৎসকরা দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন উল্লেখ করে রাফি মামলার আবেদনে বলেছেন, অপারেশনের ২৪ ঘণ্টা পর ৩ জানুয়ারি আইসিইউ থেকে রোগীকে কেবিনে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবার আইসিইউতে রাখা হয়। ৪ জানুয়ারি মারুফা বেগম মারা যান।