অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি তাদের কাছ থেকে জেনে নিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। যদিও এক ঘণ্টার এই বৈঠককে তিনি বলেছেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক শেষে কিমিনোরি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি কমিশনের সঙ্গে আমার প্রথম সৌজন্য স্বাক্ষাৎ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলো জানতে চেয়েছি। কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে তারাই ব্রিফ করবেন।”
বৈঠকে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব সচিব মো. জাহাংগীর আলমও। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উনি আমাদের নির্বাচনের রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি মহোদয় গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়ে তাকে ব্রিফ করেছেন। এটাই ছিল মূল বিষয়।”
একাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগে আগে ২০১৪ সালের স্মৃতি জেগে উঠেছে।
জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর মাস ছয়েক। এর মধ্যে ভোটের প্রস্তুতির বদলে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের মতোই বিএনপি ও তার মিত্ররা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সামনে এনেছে। বলছে, নইলে তারা ভোটে আসবে না, ভোট হতেও দেবে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও অনঢ়। তারা বলছে, উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হওয়া এই সরকার ব্যবস্থা ফিরবে না কোনোভাবেই।
এর মধ্যে পশ্চিমার বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে না। বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবেই দেখা হয় জাপানকে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জাপানি দূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বলেন, “নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধনের অগ্রগতি, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি, কোন পদ্ধতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, সে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।”
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “রোডম্যাপে আমরা কী কী বিষয়ে এগিয়ে আছি, সেগুলো জানতে চেয়েছেন।... এখানে সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির কিছু না। ঠিক আছে, না আছে এটা বলারই তো এখতিয়ার থাকার কথা না।"
জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “সিইসি যেটা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কাছে অনুরোধ এসেছিল।
“আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা টিম পাঠাতে পারে।
“সিইসি তাদেরও অনুরোধ করেছেন আপনারা পর্যবেক্ষক টিম পাঠান আমরা স্বাগত জানাবো।”