সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা খারিজ

গত ৮ এপ্রিল সাঈদ খোকনসহ সাত আসামির অব্যাহতি চেয়ে প্রতিবেদন দেয় পিবিআই।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2023, 02:30 PM
Updated : 17 May 2023, 02:30 PM

ঢাকার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট- ২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী মামলার আসামি ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি খারিজ করে দেন।

আদালতের পেশকার জনি কাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার বাদী চার থেকে পাঁচটি ধার্য তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার পর না-রাজী আবেদনও করেননি, যে কারণে পিবিআয়ের প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা খারিজের আদেশ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ ব্লক- ‘এ’ এর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এ মামলা করেন।

প্রায় তিন বছরের বেশি আগের ওই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

পরের দিন বাদীর জবানবন্দি শুনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

তদন্তে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল সাঈদ খোকনসহ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান। প্রতিবেদনে বাদীর না-রাজী না থাকায় মামলাটি খারিজ করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছিল, ঢাকার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর এ ব্লকে নির্মিত নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো বৈধতা দেওয়ার কথা বলে আসামিরা বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা নিয়েছেন। পরে তাদের সেসব দোকান উচ্ছেদ করা হলেও তারা টাকা ফেরত পাননি।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে (মামলার সময়) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের এখতিয়ারাধীন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর এক্সটেনশন ব্লক এ, বি, সি এর স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এই উচ্ছেদের বিষয়ে মামলার বাদী দেলোয়ারসহ অপর ব্যবসায়ীরা জানতে পারেন যে, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা মূলভবনের নকশাবহির্ভূত এবং অবৈধ উপায়ে অনৈতিকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য প্রতারণা করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন।