এক বছরের মধ্যে যাত্রী সেবার জন্য প্রস্তুত হবে।
Published : 22 Oct 2023, 02:44 AM
দশ শতাংশেরও বেশি কাজ বাকি রেখে আগামী ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে তাকে ‘সফট ওপেনিং’ বলছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধন হলেও এখনই এটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না। এক বছরের মধ্যে সেটি যাত্রী সেবার জন্য প্রস্তুত হবে।
নির্মাণ কাজের সবশেষ অগ্রগতি জানাতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, “৮৯ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ প্রবল বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হয়েছে। তারপরও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কঠোর পরিশ্রম করে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। যার কারণে আমরা ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন।
“ভবনটা প্রস্তুত হয়ে গেছে, ইকুইপমেন্টগুলো লেগে গেছে। এস্কেলেটর লিফট, ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম, সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টগুলো বসে গেছে। অনেকগুলো বোর্ডিং ব্রিজ বসে গেছে আর ও বসছে। আমাদের ফিজিক্যাল কাজ প্রায় শেষ।
“এখন ইন্টিগ্রেশনের পার্ট, ক্যালিব্যেশন এর কাজ বাকি। সফট ওপেনিং এর পর ওই প্রক্রিয়াগুলো চালু হবে।“
তিনি বলেন, "সফট ওপেনিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনাটা ব্যবহারযোগ্য করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপে ঢুকলাম। এটাকে কার্যকর করতে প্রায় এক বছরের মত সময় লেগে যাবে। আগামী বছরের অক্টোবরে এই টার্মিনালটা যাত্রীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য করা যাবে।"
একটি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনালও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয়েছে জানিয়ে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সেটি ব্যবহারেরও আশা করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
কী কী সুবিধা
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নতুন টার্মিনালে ৩৭ টা উড়োজাহাজ পার্কিং সুবিধা সম্মিলিত অ্যাপ্রোন হয়েছে, যাতে বিমানবন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে। আগে পার্ক করা যেত ২৯ টা উড়োজাহাজ। এই প্রকল্পের আওতায় রানওয়েরও উন্নয়ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হাইওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেলওয়ে যে কোনো উপায়ে যাত্রীরা এখানে আসতে যেতে পারবেন। ভবিষ্যতে মেট্রোলের সঙ্গে এটি সংযুক্ত হয়ে যাবে। মাল্টিলেভেল কার পার্কিংয়ে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি থাকতে পারবে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আসছে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, বিমানবন্দর নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে বিমানবন্দরে হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব একটি অভিজ্ঞ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিমানবন্দরের সেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে।
পিপিপির মাধ্যমে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি যাত্রীসেবা নিশ্চিতে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের নজরদারি করবে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।”
যাত্রীদের ব্যাগ চার ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাগ খোলারও দরকার হবে না।
পুরনো দুটো টার্মিনাল বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দিতে পারে, নতুন টার্মিনালটি চালু হলে তা বেড়ে তিন গুণ হয়ে যাবে। বিমান সংস্থা থেকে আয় দুই থেকে তিন গুণ বাড়বে বলেও প্রাক্কলন করেছে বেবিচক। তবে এর কারণে বিমানের ভাড়া বাড়বে না বলে জানান চেয়ারম্যান।
থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে দুজন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন,“এটা হয়েছিল অবহেলার কারণে। কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ঠিকাদার, সেজন্য আমরা সন্তুষ্ট।”
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)