বাদীর আর্জি শুনে বিচারক বিষয়টি বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছেন।
Published : 12 Apr 2023, 09:04 PM
চিকিৎসার অবহেলায় শিশু সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে প্রাক্তন স্ত্রী ও দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রশিদুল আলমের আদালতে বুধবার মামলার এই আবেদন করা হয়। বাদী কামরুজ্জামানের আর্জি শুনে বিচারক বিষয়টি বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এ আদালতের পেশকার সালাহউদ্দিন।
মামলার আবেদনে ঢাকার হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসাপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল করিম ও আসগর আলী হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রুহুল আমীন হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া শিশুটির মা মাসুমা আহমেদ, খালু ইমন আলম, মামা শিহাব আহমেদ ও মাসুমার মামা হাবিব মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর মামলার বাদী মৌলভীবাজারের কূলাউরা উপজেলার কিয়াতলা গ্রামের কামরুজ্জামানের সঙ্গে মাসুমা আহমেদের বিয়ে হয়। ২০২০ সালের ২৮ অগাস্ট তাদের ছেলে রাইম আমিলের জন্ম হয়, কিন্তু মাঝেমধ্যে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ত।
এরপর ২০২২ সালের ২০ মার্চ ছেলেকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান কামরুজ্জামান। ওই চিকিৎসক জানান, ‘ইনসাইস্ট্রেড হাইড্রোসেল’ নামক রোগে আক্রান্ত শিশুটি। দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে ৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
কিন্তু মাসুমা ও তার স্বজনদের অনীহায় সেখানে ভর্তি না করে ১৭ এপ্রিল ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আসগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল ডা. রুহুল আমীন শিশুটির টিউমার অর্ধেক অপসারণ করেন।
বাদী কামরুজ্জামান বলেন, শিশুটির ক্যান্সার ধরা পড়লে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৬ এপ্রিল মাসুমা ও স্বজনরা পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসাপাতালের চিকিৎসক আনোয়ারুল করিমের কাছে নিয়ে কোমোথেরাপি দেন। এরপর ৪ জুলাই শিশুটি মারা যায়।
সন্তানের মৃত্যুর পর গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর মাসুমার সঙ্গে কামরুজ্জমানের বিচ্ছেদ হয়। তারও চার মাস পর তিনি এই মামলার আবেদন করলেন।
মামলার আবেদনে ডা. আনোয়ারুল করিম এবং ডা. রুহুল আমীন হাসানের বিরুদ্ধে অবহেলা এবং মাত্রা নির্ণয় না করেই কেমোথেরাপি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডা. রুহুল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আর আমার কাছে অনেক রোগী আসে, ফাইল না দেখে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।”
অভিযোগের বিষয়ে ডা. আনোয়ারুল করিমের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।