তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের ৯ এপ্রিল

পলাতক তারেক-জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হবে কি না, এদিন সে বিষয়ে শুনানি হয়।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2023, 10:48 AM
Updated : 29 March 2023, 10:48 AM

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ‘অবৈধ’ সম্পদের মামলায় অভিযোগ গঠনের অধিকতর শুনানি হবে ৯ এপ্রিল।

ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল বুধবার। পলাতক তারেক-জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হবে কি না, এদিন সে বিষয়ে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ বিষয় অধিকতর শুনানি ও মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী পিপি মীর আহম্মেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, আসামি পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ প্রায় শতাধিক আইনজীবী এদিন সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এবং উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (ডিএলআর) দেখিয়ে তারেক ও জোবায়দা রহমানের জন্য আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেন।

শুনানিতে সালাম আদালতকে বলেন, ওই অনুচ্ছেদে ‘সবার আইনি সহযোগিতা’ পাওয়ার অধিকারের কথা থাকলেও পলাতক আসামির বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এ সময় তিনিও উচ্চ আদালতের কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা আদালতে তুলে ধরেন। এরপর আদালত শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আসামিরা পলাতক থাকায় একই বিচারক গত ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের আদেশ দিয়েছিলিন। ওই দিন তাদের সম্পত্তি ক্রোকের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আদালতে জানিয়েছিলেন, ক্রোক করার মত কোনো মালামাল তিনি পাননি।

পরে ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাদের অনুপস্থিতেই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করা হয়। অধিকতর শুনানির জন্য এবার তা পিছিয়ে ৯ এপ্রিল রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রাণালয় থেকে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ গ্রেজেট প্রকাশের পর তার কপি আদালতে পৌঁছানোয় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তারিখ রাখা হয়।

ওই গেজেটে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের গ্রেপ্তার করতে না পেরে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।

এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে।

আরও পড়ুন

Also Read: তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৯ মার্চ