গ্রামীণ টেলিকম পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক

কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2022, 05:16 PM
Updated : 29 July 2022, 05:16 PM

শ্রমিক-কর্মচারীদের ‘অর্থ লোপাট ও অ্যাডভোকেট ফির’ নামে অর্থ কর্তন এবং প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ে অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দুদক সচিব বলেন, “শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেন। উক্ত অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”

এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট চারটি অভিযোগ রয়েছে বলেছেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।

অভিযোগগুলো হল-

>> অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক- কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট।

>> শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন।

>> শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ।

>> গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে রয়েছেন, তার বিষয়ে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, “আমি যেটি বললাম, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ যেটি আমাদের কলকারখানা প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে সেটি পর্যালোচনা করে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন যিনি অনুসন্ধান করবেন, অনুসন্ধান শুরু হলে আপনারাই পরে জানতে পারবেন এর সাথে কে কে সম্পৃক্ত রয়েছেন।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “অভিযোগ অনুসন্ধানকাল অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অবশ্যই গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। অনুসন্ধানের সময় তিনি বিধি-বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন।”