বাংলাদেশ-ফ্রান্স বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায়: শেখ হাসিনা

“বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে,” বলেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2024, 05:58 AM
Updated : 6 Feb 2024, 05:58 AM

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকার এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং একান্ত বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।”

বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, উন্নয়ন ও সুশাসন ‘এই নতুন সম্পর্কের মূল ভিত্তি’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

“বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, বৈঠকে তারা কিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।

“বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরি সহায়তা প্রদানে ফ্রান্স আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্সের অগ্রণী ভূমিকাকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে একটি টেকসই তহবিল গঠনে ফ্রান্সের আহ্বানকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। এ ছাড়াও, ফ্রান্সের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষা বিনিময়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, এই সফরের সামগ্রিক বিষয়ে একটি যৌথ-বিবৃতি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে এবং দুই দেশের সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, ফ্রান্স সরকার এবং ফ্রান্সের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সমৃদ্ধি কামনা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-ফ্রান্স মৈত্রী দীর্ঘজীবী হোক!”

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)