ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা চলছে ৫ হাজার ৯৯৫টি।
Published : 10 Feb 2024, 04:16 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, সেটির ৪২ ধারা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তার দাবি, এ ধারা না থাকলে পুলিশের সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ কঠিন হয়ে যাবে। এই ধারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাটি বাতিলের দাবিকে পুলিশের হাত বেঁধে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেন মন্ত্রী।
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “পুলিশের কাজ হল যদি অপরাধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেটা বন্ধ করা আর অপরাধ ঘটলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা। সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয়। যদি পুলিশের হাতটা বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার সরকার সবসময় স্বীকার করেছে উল্লেখ করে আনিসুল জানান, এই আইনে ৭ হাজার একটি মামলা হয়েছে। এখনও চলছে ৫ হাজার ৯৯৫টি।
তিনি বলেন, “যখন দেখা গেল এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার করা হচ্ছে তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর যখন দেখা গেছে আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে।”
সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারও সঙ্গে আলাপ না করার অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ সত্য নয়’ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “বিএফইউজের (সাংবাদিকদের সংগঠন) বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ৪২ ধারা নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
বেসরকারি টেলিভিশনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি, সাংবাদিক ও কর্মীরা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)