রাজশাহীতে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন মা। ঢাকায় বসে জানতে পেরে ছেলে অনন্যোপায় হয়ে ফোন করলেন জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ। এরপর পুলিশ গিয়ে ঠেকাল তার মাকে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার বুধবার রাতে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা এলাকার এ ঘটনার কথা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের ফোন পান। ওই যুবক জানান, রাজশাহীতে তাদের বাড়িতে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করতে যাচ্ছেন তার মা। এটি তার মা নিজেই তাকে জানিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর সেই যুবক নানাভাবে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ছেলের ফোন আর ধরেননি মা। উপায় না দেখে তিনি ৯৯৯ এ এর সহায়তা চান।
যুবকের কাছ থেকে এ খবর জেনে জাতীয় জরুরি সেবা থেকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেই যুবকের কাছ থেকে ঠিকানা জেনে নিয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
পরিদর্শক সাত্তার জানান, পুলিশ বেশ কয়েকবার ধাক্কা দেওয়ার পর ওই যুবকের মা দরজা খুলে দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা দেখতে পান, সিলিং ফ্যানের ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁসি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সেই নারী। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় ওড়না খুলে গেছে তিনি নিচে পড়ে যান।
ঠিক সেই মুহূর্তে চন্দ্রিমা থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন সেই নারী সুস্থ আছেন।
‘প্রেমঘটিত অপবাদের’ কারণে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকার মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করেন সেই যুবক। তার বাবা ২০১৭ সালে মারা গেছেন।