“সস্তা হওয়ায় তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক পণ্য ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে,” বলেন সুকান্ত গুপ্ত অলোক।
Published : 08 Feb 2024, 11:05 PM
রাজস্ব আয় বাড়াতে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের দাম ও কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাকবাজেট আলোচনায় তামাকবিরোধী জোটটির তরফে এ দাবি জানানো হয়।
আত্মার পক্ষ থেকে বলা হয়, তামাকবিরোধীদের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে পাঁচ লাখ তরুণসহ এগার লাখের বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঠেকানো যাবে।
বাংলাদেশে তামাকপণ্য ‘অত্যন্ত সস্তা’ মন্তব্য করে আত্মা এর সদস্য সুকান্ত গুপ্ত অলোক বলেন, এ কারণে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতিকর এ পণ্য ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে তথ্যের ভিত্তিতে চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাশরুর জামান রনি জানান, ২০২১ সালের (৪ জুলাই) তুলনায় ২০২৩ সালে (৪ জুলাই) খোলা চিনির দাম বেড়েছে ৮৯ শতাংশ, আলুর দাম বেড়েছে ৮৭ শতাংশ, খোলা আটার দাম বেঢ়েছে ৭৫ শতাংশ। অথচ একইসময়ে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
আত্মার পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে আছে-
নতুন অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৬০ টাকা ঠিক করে ৬৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা;
প্রতি ১০ শলাকা মধ্যম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা, উচ্চ স্তরের খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৬৫ টাকা নির্ধারণ করা। এই তিনটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ বহাল রাখা।
প্রাক-বাজেট সভায় ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা ঠিক করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ।
প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন আত্মা’র আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন, সহ আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী, সদস্য দৌলত আক্তার মালা।